~ লুনা
June 15, 2016
অনেকদিন আগে বাসায় গিয়েছিলাম। ওর নাম লুনা। তো, আমি পৌছালাম যখন সকাল প্রায় ছয়টা। যখন আমি আমাদের রুমে ঢুকলাম, লুনা ঘুম থেকে উঠে এক লাফে আমার কোলে আসলো। মনে হচ্ছিল, পারলে আমার বুকের ভিতরে ঢুকে যেত। যাতে সব সময় আমার সাথে থাকতে পারে। মুহূর্ত টা কল্পনা করে চোখে পানি আসছে।
তারপর,
আমাদের কত মান অভিমান।
রাগ।
বিচার দেওয়া মাস্ট।
সব শুনলাম। অভিমান ভাঙ্গালাম। রাগ ভাঙ্গালাম। বিচার করলাম আমার আম্মুর আর (ছোট দুইটার মধ্যে) । সবার শাস্তি, এরপর আর লুনাকে কেউ পড়তে বলবে না। বললেই লুনা আমার সাথে ঢাকায় যাবে। আর ফিরে আসবে না।
পরের কয়েকদিন ওর বিরক্তে অতিষ্ঠ হলাম। আহা! বিরক্তই তো চাই।
সকালে আমি ঘুম থেকে উঠি, এগারোটায়। লুনা আমাকে ডেকে তোলে সাতটায়। তারপর মুখ ধোওয়ার সময়টুকু দেয় না নাস্তা করার জন্য।
আমি যেখানে যাব, সেখানে উনাকে নিয়ে যেতে হবে। না হলে চিরদিনের আড়ি। আড়ি আড়ি আড়ি।
যেকোনো ব্যাপারে লুনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
আরও অনেক কাহিনী।
কয়েকদিন থাকার পর আমাকে ঢাকায় ফিরতেই হবে। উপায় নেই।
লুনা আসলো আমাকে এগিয়ে দিতে। আমি আবার কবে বাসায় ফিরব, সেটাই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করল।
আমি বসে আছি... এখন ছেরে দিবে। স্টার্ট দিয়েছে। পাশে লুনা। বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে করুন চোখে। বোঝা যাচ্ছে, ও চায় না, আমি ওর চোখের পানি দেখে ফেলি। এতোটুকু মেয়ে অনেক বেশি বুঝে ফেলেছে। আমি ওর চোখের পানি সহ্য করতে পারব না। তারপর উল্টা দিকে ঘুরে জোরে একটা দৌড় দিল বাসার দিকে।
আমার চোখ থেকে তখন কয়েক ফোঁটা পানি আমি মুছলাম রুমাল দিয়ে। এখন যেমনটি মুছছি হাত দিয়ে....
~ লুনা
অনেকদিন আগে বাসায় গিয়েছিলাম। ওর নাম লুনা। তো, আমি পৌছালাম যখন সকাল প্রায় ছয়টা। যখন আমি আমাদের রুমে ঢুকলাম, লুনা ঘুম থেকে উঠে এক লাফে আমার কোলে আসলো। মনে হচ্ছিল, পারলে আমার বুকের ভিতরে ঢুকে যেত। যাতে সব সময় আমার সাথে থাকতে পারে। মুহূর্ত টা কল্পনা করে চোখে পানি আসছে।
তারপর,
আমাদের কত মান অভিমান।
রাগ।
বিচার দেওয়া মাস্ট।
সব শুনলাম। অভিমান ভাঙ্গালাম। রাগ ভাঙ্গালাম। বিচার করলাম আমার আম্মুর আর (ছোট দুইটার মধ্যে) । সবার শাস্তি, এরপর আর লুনাকে কেউ পড়তে বলবে না। বললেই লুনা আমার সাথে ঢাকায় যাবে। আর ফিরে আসবে না।
পরের কয়েকদিন ওর বিরক্তে অতিষ্ঠ হলাম। আহা! বিরক্তই তো চাই।
সকালে আমি ঘুম থেকে উঠি, এগারোটায়। লুনা আমাকে ডেকে তোলে সাতটায়। তারপর মুখ ধোওয়ার সময়টুকু দেয় না নাস্তা করার জন্য।
আমি যেখানে যাব, সেখানে উনাকে নিয়ে যেতে হবে। না হলে চিরদিনের আড়ি। আড়ি আড়ি আড়ি।
যেকোনো ব্যাপারে লুনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
আরও অনেক কাহিনী।
কয়েকদিন থাকার পর আমাকে ঢাকায় ফিরতেই হবে। উপায় নেই।
লুনা আসলো আমাকে এগিয়ে দিতে। আমি আবার কবে বাসায় ফিরব, সেটাই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করল।
আমি বসে আছি... এখন ছেরে দিবে। স্টার্ট দিয়েছে। পাশে লুনা। বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে করুন চোখে। বোঝা যাচ্ছে, ও চায় না, আমি ওর চোখের পানি দেখে ফেলি। এতোটুকু মেয়ে অনেক বেশি বুঝে ফেলেছে। আমি ওর চোখের পানি সহ্য করতে পারব না। তারপর উল্টা দিকে ঘুরে জোরে একটা দৌড় দিল বাসার দিকে।
আমার চোখ থেকে তখন কয়েক ফোঁটা পানি আমি মুছলাম রুমাল দিয়ে। এখন যেমনটি মুছছি হাত দিয়ে....
~ লুনা
Comments
Post a Comment