জীবনটা রাস্তার পাশে রাখা ইট, বালু, সুরকির স্তুপের মত। চলার পথে কেউ কেউ পা দিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে যায়। আবার কেউ কেউ পা দিয়ে জায়গায় রেখে যায়। তবু দিনশেষে ছড়ানো ছিটানো অংশই বেশি। সবাই ছড়াতে পারে। অথচ খুব কম মানুষই গুছাতে জানে!!
আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই আমার নাম গাও তুমি, আমি আকাশ ও রোদের দেশে ভেসে ভেসে বেড়াই মেঘের পাহাড়ে চড় তুমি, আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই আমার নাম গাও তুমি ।। ভালবাসা করে আশা তোমার অতল জল শীতল করবে মরুভূমি, জলে ডাঙ্গায় কেন ডুবতেও রাজি আছি আমি যদি ভাসিয়ে তোল তুমি, আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই আমার নাম গাও তুমি ।। তুমি এসো ফসলের ডাকে বটের ঝুরির ফাকে আর এসো স্বপ্ন ঘুমে, এই স্বপ্ন দুচোখ খুলে জেগে দেখা যায় যদি নয়ন তারায় বসো তুমি, আমি তোমারই, তোমারই তোমারই নাম গাই আমার নাম গাও তুমি ।। কবিতা গেল মিছিলে মিছিল নিয়েছে চিলে অসহায় জন্মভূমি, আজ এক তারার চিলা তোমার স্পর্শ চায় যদি টংকার দেও তুমি, আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই আমার নাম গাও তুমি ।। শিরোনামঃ আমি তোমারই নাম গাই অ্যালবামঃ ভূবন মাঝি শিল্পীঃ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
থাকা আর না থাকার মধ্যে পার্থক্য কোথায়? এই এতো মানুষ, প্রতিদিনই কত শত হাজার নতুন আসছে পৃথিবীতে , যাচ্ছেও সেরকম। এই যাওয়া আসার জন্যে কত-শত আয়োজন, কোলাহল, কত আরম্ভরতা। এই মহা বিশ্বের সাথে আমাদের এই পৃথিবীকে তুলনা করলে তাকে ধূলি কণা বললেও ভুল হবে না। একটি ধূলি কণা নিয়ে পুরো জগতের মাথা ব্যথার কি বা কারণ থাকতে পারে ! কোন কিছু নিয়ে মন খারাপের কোন কারণ নেই। আমি আছি, থাকবো না এর মাঝের ব্যবধানটুকু অতি ক্ষুদ্র। বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে নানা রকম মহাজাগতিক রশ্মির ইন্টারসেকশনে তৈরি হয় মিওন যার লাইফ টাইম হচ্ছে ২ মাইক্রোসেকেন্ড। মুহূর্তেই হাজার হাজার কোটি তৈরি হয়, আলো কাছাকাছি বেগে পৃথিবীতে আঘাত হানে, তারপর নাই হয়ে যায়, তাতে কি আমার কিছু আসে যায়? আমার মন খারাপ হলেও আলফা সেনচুরি-র কিছু আসে যায় না। তাহলে আমাদের এইসব জীবন যাপন অহেতুক? সব কিছুই যেন ছোটন্ত ঘোড়া। ছুটে চলার আনন্দেই চলা। কেন এই ছুটে চলা, যার কোন মানে নেই। ছুটে চলার মাঝে কি আনন্দ আছে? আনন্দই বা কি? মস্তিস্কের অনুরণন? এও হতে পারে এই সব যা দেখছি তার কোন কিছুই সত্যি নয়, শুধুই কারো ভাবনা ?
একটি মেশিন এক বা একাধিক অংশ সংবলিত কর্ম সঞ্চালন করার শক্তি ব্যবহার করার একটি যন্ত্র। মেশিন সাধারণত , যান্ত্রিক রাসায়নিক , তাপ , অথবা বৈদ্যুতিক অর্থ দ্বারা চালিত হয়। এই মেশিন এর সাহায্যে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা যায় খুব সহজ ভাবে এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে। একটি মেশিন কেবলমাত্র একটি বলকে দিক বা মাত্রায় রুপান্তরিত করে। কিন্তু এছাড়াও আরও জটিল মেশিন আছে যা আমাদের জীবনে দরকার এবং জীবনকে করে দিয়েছে সহজ। যেমনঃ যানবাহন , ইলেকট্রনিক সিস্টেম , আণবিক মেশিন , কম্পিউটার , টেলিভিশন , এবং রেডিও ইত্যাদি। ইঞ্জিন (Engine) শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফরাসি “engin” এবং ল্যাটিন “ingenium” শব্দ থেকে। আমরা জানি , শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই , এক রূপ থেকে অন্য রূপে নেয়া যায় মাত্র। সাধারণত যে যন্ত্র শক্তির অন্য যেকোনো রূপকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে , তাকে ইঞ্জিন বলে। যেমন : ইলেক্ট্রিক মোটর , তাপ ইঞ্জিন প্রভৃতি।
Comments
Post a Comment